img

নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

ফরহাদ মজহার বলেন, যদি আমরা কিছু করতে চাই তাহলে দয়া করে নির্বাচনের ধারণাটা বাদ দেন। নির্বাচন মানেই গণতন্ত্র, এটা মারাত্মক ভুল।

নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন মানে গণতন্ত্র, এই ভুয়া তত্ত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্র মানে হচ্ছে জনগণের সামষ্টিক অভিপ্রায় বাস্তবায়িত করা। এটার আরেকটা নাম আছে, সেটা হচ্ছে গণ-সার্বভৌমত্ব।

জনগণের গাঠনিক ক্ষমতা কখনো হরণ করা যায় না। আন্দোলনসহ বিভিন্ন কিছুর মধ্য দিয়ে জনগণ তার এই গাঠনিক ক্ষমতাকে জারি রাখে।

তিনি বলেন, সমস্যা হচ্ছে কেন্দ্রীয় ক্ষমতাকে যেখানে দেওয়া হয়েছে, পুরনো প্রতিষ্ঠানগুলো রয়ে গেছে। যেহেতু শেখ হাসিনার রাষ্ট্রকে আমরা টিকিয়ে রেখেছি, সেই রাষ্ট্রটা এখনো আছে।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে ফরহাদ মজহার বলেন, ফলে সেই রাষ্ট্রটি আপনার সামনে দানবের মতো দাঁড়িয়ে আছে। এটাকে আপনি ভাঙতে পারছেন না। আপনি বলছেন এটাকে সংস্কার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের নতুন বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ খুব সহজ। নতুন গণপরিষদ গঠন করা এবং একটা গণপরিষদে নির্বাচন করা।

গণপরিষদে আমাদের সব সাংবিধানিক প্রশ্ন, সব আইনি প্রশ্ন, রাষ্ট্রীয় প্রশ্ন ফয়সালা করা। যখন আমরা সিম্পল ফর্মুলাকে জটিল করে ফেলি, এদিক-ওদিক নিয়ে যাই, তখন বিভিন্ন শক্তির কারণে আমরা এটাকে তখন নষ্ট করে ফেলি।

ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, জনগণকে বলতে দেন তারা কেমন বাংলাদেশ চায়। জনগণকে ক্ষমতা দেন। এটা না করে আপনি দুই-তিনটা লোক নিয়ে এসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করলেন। এটার তো কোনো ভ্যালিডিটি নেই। আপনাদের কোনো এখতিয়ারই নেই।

আলোচনা সভায় কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর